প্রত্যয় ঢাকা ডেস্ক : রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর বন্ধের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রশ্ন রেখেছেন, রোহিঙ্গাদের তারা কেন আমেরিকা-ইউরোপে নিয়ে যাচ্ছেন না।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানো বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ রোহিঙ্গাদের আমেরিকা কেন নিয়ে যাচ্ছেন না। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রোহিঙ্গাদের কেন যুক্তরাজ্যে-ইউরোপে নিয়ে যাচ্ছেন না। আপনারা তাদের জিজ্ঞাসা করেন।
‘আন্তর্জাতিক সংস্থার লোকরা কক্সবাজারকে ডেঞ্জার জোন মনে করে। সে কারণে তারা প্রতিদিন সাড়ে চারশ ডলার পারডেম পান। ভাসানচরে গেলে তো পারডেম দেওয়া লাগবে না। খরচ বেঁচে যাবে। ’
ড. মোমেন বলেন, সাড়ে তিন বছর ধরে আন্তর্জাতিক সংস্থা চেষ্টা করছে, তবে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে পাঠাতে পারেনি। রাখাইনে কি হচ্ছে, তারা সেটা মিয়ানমারের কাছ থেকে কেন জানতে পারছে না।
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানোর বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাকে অবহিত করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, প্রথম দিন থেকেই তাদের অবহিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর পাঠানোর বিষয়ে বিরোধিতা করছে।
এছাড়া ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থানান্তরকরণ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ এক বিবৃতি জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কক্সবাজার থেকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ভাসানচরে প্রারম্ভিক স্থানান্তরের কাজ আগামী কিছুদিনের মধ্যে শুরু করার সম্ভাবনা বিষয়ক কিছু প্রতিবেদন সম্পর্কে জাতিসংঘ অবগত রয়েছে। উক্ত স্থানান্তরের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে, অথবা শরণার্থীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। স্থানান্তরের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জাতিসংঘের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই।
এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে জাতিসংঘের কারিগরি কমিটির মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।